সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সাথে সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত গাড়ির বিষয়ে মুখ খুললেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party – NCP) এর সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তার ব্যবহৃত গাড়িটি একজন ‘জামায়াতপন্থী ব্যবসায়ী’র দেওয়া উপহার।
“আমি একটা গাড়ি নিয়েছি। এ গাড়ি নিয়ে এর আগেও কথা বলেছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মিডিয়া নিউজ করেছে—গাড়িটা কার? এই গাড়িটা এক জামায়াতপন্থী ব্যবসায়ীর। এটা উনি আমাকে দেন,” বলেন মাসউদ।
হাতিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চাইছেন মাসউদ, আর সে কারণে নিরাপত্তার প্রশ্নে বাইকে চলাফেরাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। “উনি আমার হাতিয়ার মানুষ। আমার হাতিয়ার মানুষ চান আমি যেন হাতিয়াতে রাজনীতি করি। এখন আমার বাড়িতে বাইকে যাওয়া তো রিস্কি। এখন তো আর আগের মতো যাতায়াত করা সম্ভব নয়,” যোগ করেন তিনি।
তবে শুধু গাড়ির প্রসঙ্গই নয়, মাসউদ তার এলাকায় প্রবাসী সমাজের সক্রিয় সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন। “আমার এলাকার ৩০০ প্রবাসী আছেন, যারা নিয়মিত আমাকে একটা গ্রুপ করে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা চান আমি যেন হাতিয়া থেকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হই,”—এমন কথাও বলেন তিনি।
উল্লেখ্য এর আগে নিজের অফিসের একটি ছবি পোস্ট করে সমালোচনার মুখে সেই অফিসটি তার নয় বলে ঘোষণা দেহ হান্নান।
এই স্বীকারোক্তি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে একটি দলীয় নেতার প্রকাশ্যে জামায়াত সংশ্লিষ্ট কারও থেকে উপহার গ্রহণ, অন্যদিকে প্রবাসীদের রাজনৈতিক অনুদান—এ সবই ঘনীভূত করছে এনসিপির রাজনৈতিক অবস্থান ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে আসা একদিকে স্বচ্ছতার দাবি মেটালেও, অন্যদিকে এটি এনসিপির ‘জোট নিরপেক্ষতা’ এবং দলীয় অর্থায়নের উৎস নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে পারে। বিশেষত, জামায়াত সংশ্লিষ্ট কোনো সংযোগ বা উপহার দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে বিবেচিত।