অব্যাহতি দেওয়া হলো স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বৈছাআ’র নেতা তুহিন ফারাবীকে

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম (Nurjahan Begum)-এর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একের পর এক উপদেষ্টা দপ্তরে এমন সিদ্ধান্তে প্রশাসনিক মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তুহিন ফারাবী বর্তমানে অফিস করছেন না। বরং উপদেষ্টার দপ্তর থেকেই তাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—তিনি যেন আর অফিসে না আসেন।

তুহিন ফারাবীর নিয়োগ হয়েছিল গত বছরের ২ অক্টোবর। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার এই বাসিন্দাকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। নিয়োগপত্রে উল্লেখ ছিল, উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকাকালীন বা তার ইচ্ছানুযায়ীই তুহিন ওই পদে বহাল থাকবেন।

তবে দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর থেকেই তুহিন ফারাবীকে ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ উঠতে শুরু করে বলে জানায় মন্ত্রণালয়সূত্র। অভিযোগগুলোর প্রকৃতি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি, তবে তার কারণে অবশেষে কার্যত তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তুহিন ফারাবী মূলত একজন ছাত্র-রাজনীতি সংশ্লিষ্ট কর্মী। তিনি ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় মেডিকেল দলের সদস্য। তাঁর রাজনৈতিক অতীত, বিতর্কিত ভূমিকা এবং মন্ত্রণালয়ে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই।

তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম কিংবা তুহিন ফারাবী কারও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রশাসনিক মহলে অনেকে বলছেন, একের পর এক উপদেষ্টা দপ্তরের ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের অপসারণ, নিরবচারে কিছু অন্তর্দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত বহন করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *