এক নারীর দায়ের করা হত্যা ও নির্যাতনচেষ্টার মামলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন (Meher Afroz Shaon)-এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (Chief Metropolitan Magistrate Court) অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন বলে আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গত ১২ মার্চ নিশি ইসলাম নামের এক নারী আদালতে অভিযোগ করেন, শাওনের বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী তাঁকে গোপনে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করেছেন এবং পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে নির্যাতন করেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মোহাম্মদ আলী তার আগের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এই বিয়ে করেন এবং বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তাকে চাপ দেন। এরপর ৪ মার্চ গুলশানের বাসায় নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়, যেখানে শাওনসহ পরিবারের আরও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় অভিনেত্রী শাওন ছাড়াও তার বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, ভাই মাহিন আফরোজ, বোন সেঁজুতি ও তার স্বামী সাব্বির, আত্মীয় মোখলেছুর রহমান, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, সিটিজেন কেবলসের মহাব্যবস্থাপক সুব্রত দাস এবং হিসাব বিভাগের প্রধান মাইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অন্যদিকে, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক শাহ আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে, আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, বাদী নিশি ইসলাম আদালতে শাওনের বাবার সঙ্গে নিজের বিয়ের কাবিননামা দাখিল করেছেন এবং বিয়ের সময় ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য ছিল বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর থেকেই তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল যাতে বিয়ের বিষয়টি গোপন থাকে, আর যখন তিনি মুখ খোলার চেষ্টা করেন, তখন তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
এই মামলার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া কীভাবে এগোয়, তা নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।