চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অবস্থান না পাওয়ার হতাশা থেকেই ইলিয়াস কাঞ্চন রাজনীতিতে এসেছেন—এমন মন্তব্য করে ক্ষোভ ঝাড়লেন জনতার অধিকার পার্টির (Jonotar Odhikar Party) চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (Tariqul Islam Bhuiyan)। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কাঞ্চনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন, একই সঙ্গে নাম মিল থাকার কারণে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
তরিকুল বলেন, “গত ১৭ বছরে আপনাকে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি। এখন হঠাৎ চলচ্চিত্র থেকে সরাসরি রাজনীতিতে, যেন বঙ্গভবনের পথ সুগম করতে চাচ্ছেন। কিন্তু পিঠের চামড়া থাকবে না, পায়ের আঙুলও থাকবে না—এটা ভুলে গেলে চলবে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, ইলিয়াস কাঞ্চন (Ilias Kanchan) যে দলের ঘোষণা দিয়েছেন, সেটির নাম ‘জনতার অধিকার’ শব্দটির সঙ্গে প্রায় অভিন্ন। ফলে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, “নাম পরিবর্তন না করলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হবো, প্রয়োজনে আইনগত সবকিছু করবো।”
এছাড়াও তরিকুল তার বক্তব্যে সরকারের দিকেও আঙুল তোলেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “গত সরকার সাংবাদিক তৈরি করার কারখানা করেছে। এখন নতুন ষড়যন্ত্র চলছে—নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে আওয়ামী লীগকে আবার মাঠে নামানো হচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বিএনপি-আওয়ামী লীগ আজ এক হয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে আগস্ট বিপ্লবকে বাধাগ্রস্ত করছে। লুটপাটকারী গোষ্ঠী এখন আবার ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করছে—ছোট ভাইয়েরা গেছেন, বড় ভাইয়েরা দায়িত্ব নিয়েছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল আরও দাবি করেন, “গত ১৭ বছর যারা আন্দোলনে ছিল, মামলা-জেল-হামলা খেয়েছে, আজ তাদেরকে ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”
এছাড়া নির্বাচনের প্রসঙ্গে এসে তিনি বলেন, “যারা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন থাকার পরেও অন্য দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়, তাদের নিবন্ধন বাতিল করা উচিত। না হলে আমরা কঠিনভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবো।”
শেষে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দেশের রাজনীতি নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা চলতে দেওয়া যাবে না। এভাবে চললে দেশের ভবিষ্যৎ গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।”