কবিগুরুর গান জাতীয় সংগীত হিসেবে পাওয়া আমাদের গর্ব: তারেক রহমান

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)-এর ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছেন তারেক রহমান (Tarique Rahman)। বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, “আমাদের জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে বিশ্বকবির অবদান অনস্বীকার্য। এশিয়া মহাদেশে প্রথম নোবেল বিজয়ী এই মহান মনীষী ঔপন্যাসিক, কবি, সংগীতস্রষ্টা, কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, চিত্রকর এবং দার্শনিক রূপে এক অনন্য প্রতিভার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।”

তারেক রহমান তার বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথের অনন্য সৃষ্টিশক্তির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “তার সৃষ্টিতে রয়েছে গভীর জীবনবোধ এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মনিবেদন, যা মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে। আমরা গর্বিত যে, তার রচিত গানই আমাদের জাতীয় সংগীত।”

রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও সংস্কৃতি ভাবনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চিরাচরিত ধারার বাইরে রবীন্দ্রনাথের স্বাতন্ত্র্যবোধ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সমাজচিন্তায় তাঁর নতুন মাত্রা বাংলা ভাষাভাষীদের মানসলোক নির্মাণে এক ঐতিহাসিক অবদান রেখেছে। আজও আমরা তাঁর জন্মদিন উদ্‌যাপন করি হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।”

তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, রবীন্দ্রনাথ তার লেখনীতে মানব সমাজের মূঢ়তা ও স্থবিরতার করুণ চিত্র অঙ্কন করেছেন এবং অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর অচলায়তন ভেঙে দিয়ে তাদের অগ্রসর জাতিসমূহের গৌরবময় অর্জন গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর মনন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রকৃতির অপরূপ রূপ তিনি সুর ও বাণীর নিপুণ মাধুর্যে প্রকাশ করেছেন।

১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ, কলকাতার বিখ্যাত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা দেবীর চতুর্দশ সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তিনি এনেছেন এক অভূতপূর্ব নবজাগরণ, যার সংগীত, কবিতা ও গদ্য আজও বাঙালির প্রাণের অন্তর্গত অংশ হয়ে আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *