নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে আগামীকাল বুধবার (২১ মে) বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party – NCP)। মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে দলটির শীর্ষ নেতারা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। আমরা এর ওপর আস্থা রাখতে পারছি না।” একই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জোর দাবি জানান।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে পরিকল্পিতভাবে সবকিছু জাতীয় নির্বাচনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে—এ বিষয়ে আমাদের দ্বিমত নেই। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে গণপরিষদ ও জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিও জানাচ্ছি।”
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. এজাজ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, “তার সঙ্গে এনসিপির কোনও সম্পর্ক নেই। কিছু রাজনৈতিক দল টেন্ডার না পেয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। এই অভিযোগ তদন্ত হওয়া উচিত, সরকারের দায়িত্ব এটি খতিয়ে দেখা।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “জনকল্যাণে কাজ করাই একটি অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত। কোনও নির্দিষ্ট দলকে খুশি করা নয়। বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না—এটা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে স্থানীয় নির্বাচনই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারে। এটি জনগণের আস্থার পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে।”
এদিকে, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রতিবাদে এবং পুনর্গঠনের দাবিতে আমরা কাল রাস্তায় নামছি।”
দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, “এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। সম্প্রতি ইশরাক হোসেন-এর মেয়র পদ সংক্রান্ত মামলায় আদালতে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেটি ইসির ব্যর্থতার উদাহরণ। এসব কারণেই ইসি পুনর্গঠনের দাবিতে বুধবার সকাল ১১টায় আমরা ইসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করব।”
বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে এনসিপি সরকার এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ের কাছে বার্তা দিতে চায়—বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য কাঠামোগত সংস্কার এখনই জরুরি।