প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা ড. ইউনূস (Dr. Yunus) পদত্যাগ করছেন—এমন গুঞ্জন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং গুজব বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন গণঅধিকার পরিষদ (Gono Adhikar Parishad)-এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (Rashed Khan)। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
রাশেদের ভাষায়, মানবজমিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—‘প্রফেসর ইউনূস ইতিমধ্যেই অভ্যুত্থানের নায়কদের ডেকে বলেছেন, তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করবো।’ এই বক্তব্যের জোরালো প্রতিবাদ করে রাশেদ বলেন, ড. ইউনূস পদত্যাগ করছেন না এবং তিনি এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
রাশেদ খান বলেন, “ড. ইউনূস স্যার কিছুটা বিরক্ত হয়েছেন ঠিকই, তবে সেটা মূলত এনসিপি (NCP) এবং নাগরিক পার্টির উপদেষ্টাদের কিছু কর্মকাণ্ড দেখে। তার সতর্কবাণীকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে এটিকে পদত্যাগের বার্তা হিসেবে ছড়ানো হচ্ছে।”
সকাল থেকে চলমান গুঞ্জনের মধ্যেই এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম একটি গণমাধ্যমে বলেন, ‘ড. ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন।’ এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশেদ খান বলেন, “তাদেরই (এনসিপির) কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে স্যার যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি মূলত ছাত্রদের প্রতি সতর্কতা ছিল। সংবাদে বলা হয়েছে, তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন—এই ব্যাখ্যা অতিরঞ্জিত।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে এনসিপি এখন নিজেদের রক্ষা করতে সামাজিক মাধ্যমে নাটক করছে। তারা বলছে, সব রাজনৈতিক দল যেন স্যারের হাতে-পায়ে ধরে তাকে থামায়। আসলে এটি হাস্যকর প্রচেষ্টা, যা সহানুভূতি কুড়ানোর এক নীতিহীন প্রয়াস।”
রাশেদ খান আরও দাবি করেন, ড. ইউনূস রাতে এমন সময় জেগে থাকেন না এবং সাধারণত খুব আগেই ঘুমিয়ে পড়েন। “যখন ফেসবুকে সবাই হাহুতাশ করছে, তখন তিনি ঘুমিয়ে আছেন,”—বলেছেন রাশেদ।
এই পরিস্থিতিতে স্পষ্ট হচ্ছে, ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জনের ভিত্তি নেই। বরং পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে এনসিপি নিজেই বিতর্কে জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন দেখার বিষয়—এই বিভ্রান্তি আরও কতদূর গড়ায়, আর ড. ইউনূস নিজে কখন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন।