বিদেশি নাগরিক হলেও ছাড় পাচ্ছেন না, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজর এবার পড়েছে সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (Mohibul Hasan Chowdhury Nowfel)–এর বিদেশি স্ত্রীর ওপর। সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করতে যাচ্ছে দুদক।
দুদকের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিদেশি স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি বা তাঁর পক্ষ থেকে কেউ তা গ্রহণ করেননি। এরপর গত ২৩ মার্চ আদেশসহ মূল সম্পদ বিবরণী লটকিয়ে জারি করা হয়।
তবে তাতেও কাজ হয়নি। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এমনকি সময় বৃদ্ধির জন্য কোনো আবেদনও জমা পড়েনি।
এ অবস্থায় দুদক জানায়, নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় থাকলেও সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনের ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল-এর বিরুদ্ধেও ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। সেই মামলায় তাঁর ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৪১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
সরকারের উচ্চপদস্থ একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্ত্রী হয়েও সম্পদের হিসাব না দেওয়া এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করায় বিষয়টি ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠছে। আইন সবার জন্য সমান—এমন বার্তা দিতেই সম্ভবত কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে দুদক।