জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় হিসেবে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধকে নির্ধারণ করার পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল (Asif Nazrul)। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) ইতোমধ্যেই এই সময়সীমা ঘোষণা করেছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল নির্বাচন সময়সূচির এই সিদ্ধান্তের নেপথ্য যুক্তিগুলো তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন, “অনেক কিছু বিবেচনা করে এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিচার ও সংস্কারের কাজ এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে, যা জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রথমবারের মতো ভোটের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা, তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির পরিধি বাড়ানো এবং নির্বাচন আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় নিশ্চিত করাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।”
স্ট্যাটাসে তিনি স্বীকার করেন, “প্রশ্ন উঠতে পারে—নির্বাচন কি ফেব্রুয়ারিতে, অর্থাৎ রোজার আগেই করা যেত না? হয়তো যেত। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এপ্রিলের দিকে যাওয়ার, কারণ এতে করে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটারকে নির্বাচনে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে এবং প্রক্রিয়াটি আরও গ্রহণযোগ্যভাবে পরিচালিত হবে।”
আসিফ নজরুল বলেন, শুধু নির্বাচন নয়, একই সঙ্গে দেশের সংস্কার প্রক্রিয়াও এগিয়ে নিতে হবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে। তাঁর অনুরোধ, “এই সংকটকালে আসুন আমরা সবাই মিলেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী সংস্কার কাঠামোর দিকে অগ্রসর হই।”
এই অবস্থান থেকে বোঝা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য শুধুমাত্র একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং সেটিকে সর্বজনগ্রাহ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার প্রয়াস। এপ্রিল মাসকে নির্বাচনকাল হিসেবে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে একটি তুলনামূলক দীর্ঘ প্রস্তুতির সময় রাখা হয়েছে যাতে প্রয়োগিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কাজগুলো সুচারুভাবে সম্পন্ন করা যায়।