আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথম ভাগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস (Dr. Yunus)। তবে এই তারিখে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব ঘিরে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অস্বস্তি—বিশেষ করে বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট মহলে।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করে আসছিল। ড. ইউনূসের শুক্রবার রাতে দেওয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে এপ্রিলের তারিখ ঘোষণার পরপরই বিরোধিতা জানায় দলটি। বিএনপির মতে, জাতি যেভাবে নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিল, এই ঘোষণায় সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ (Salahuddin Ahmed) এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা ও দেশের মানুষ ডিসেম্বরেই নির্বাচন আশা করেছিলাম। এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো মানে একটি অকারণ দীর্ঘসূত্রতা, যা সংকট আরও জটিল করে তুলতে পারে।”
বিএনপি মনে করে, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব আয়োজন করাই সবার জন্য মঙ্গলজনক হতো। দলটির নেতারা মনে করছেন, এপ্রিল পর্যন্ত সময় নেওয়ার মাধ্যমে সরকার পক্ষ রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অপচেষ্টা করতে পারে।
তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার ভাষণে বলেন, “একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, প্রশাসনিক ও কারিগরি প্রস্তুতি, সব দলকে সম্পৃক্ত করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন।
কিন্তু বিএনপির মতে, এসব যুক্তি রাজনৈতিক সময়ক্ষেপণের ঢালমাত্র। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই ঘোষণা জাতিকে হতাশ করেছে। আমরা চাই জাতি নির্দিষ্ট, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সময়সীমায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারুক।”
বিএনপি আরও জানিয়েছে, দলটি নতুন কর্মসূচি নিয়ে ভাবছে এবং আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবে।