আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)-এর এই ঘোষণা স্বাগত জানালেও সময় নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন গণ অধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad)-এর সভাপতি নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur)। তার মতে, জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্বাচন হলে সময়-সংবেদনশীল বিভিন্ন বাস্তবতা আরও ভালোভাবে সামলানো যেত।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় নুর বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত রোজা। এরপর ঈদ। ঈদের পরপরই এপ্রিল মাসে রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা। সবকিছু বিবেচনায়, জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্বাচন হলে ভালো হতো।’
তবে তিনি সম্পূর্ণ নেতিবাচক নন। এই ঘোষণা নির্বাচন নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তা অনেকটাই দূর করেছে বলে মনে করেন তিনি। তার ভাষায়, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দলীয়ভাবে এ বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে।’
নুর বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চেয়েছিল। অথচ দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল কবে নির্বাচন হবে তা নিয়ে। সেই দোলাচল কিছুটা হলেও দূর হয়েছে বলে মত তার।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঈদুল আজহার পর যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সংলাপ হবে, তখন নির্বাচন আরও এগিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে কথা উঠতে পারে। নুরের মতে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারে, তাহলে সময়সূচি আরও আগাতে পারে।
এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলেও তার সময় ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এখনও চলছে নানা মতবিরোধ ও সংশয়। সময়ই বলে দেবে, নির্বাচনের সময়সূচি আদৌ সংশোধন হবে কিনা।
