নির্বাচন বাংলাদেশে হবেই, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল মান-অভিমান বা ‘গোসসা’ করে নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে সরে আছে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক (Zainul Abdin Farroque)। তিনি বলেন, এসব দল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকার কথা ভুলে গেছে।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে নোয়াখালীর সেনবাগ বাজারে আয়োজিত এক আনন্দ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হওয়ার পর এ আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “মান-অভিমান করে নির্বাচন এড়িয়ে গেলে জনগণের সামনে নিজেদের প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ নষ্ট হবে। যারা গঠনমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, তাদের উচিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয়, বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়ছে। শেখ হাসিনার আমলে দিনের ভোট রাতে, মৃত ব্যক্তির ভোট পড়েছে—এমন নির্বাচন নয়, আমরা চাই অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট।”
সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, পুরনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে যেন ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের অবহেলা না করা হয়। “জেল-জুলুম সহ্য করে যারা দলের পাশে থেকেছে, আদালতের বারান্দায় সময় কাটিয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে যদি টাকার বিনিময়ে কাউকে নেতৃত্বে বসানো হয়, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না,”—বলেন ফারুক।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সেনবাগ পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন। উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপি (Noakhali BNP)-র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোক্তার হোসেন পাটোয়ারি, আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন উল্লাহসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় নেতৃত্বে স্বচ্ছতা ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে, না হলে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া কঠিন হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সংগঠনকে যেন অর্থ-বাণিজ্যের মাধ্যমে দুর্বল না করা হয়, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।