যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে জানিয়েছে যে সম্প্রতি দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে চালানো হামলা নিয়ন্ত্রিত পরিসরে রাখা হবে এবং ভবিষ্যতে আর কোনও সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন (CNN)-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)-এর নির্দেশে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিতে যে হামলা চালানো হয়েছে, তা ছিল একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, তবে তা সীমিত রাখার ব্যাপারে বার্তা দেওয়া হয়েছে ব্যাক-চ্যানেল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে। আলোচনার সাথে সরাসরি জড়িত দুই ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন, এই বার্তার মাধ্যমে ইঙ্গিত মিলছে যে ওয়াশিংটন সংঘাত এড়াতে চায় এবং এখন কূটনৈতিক পথেই সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে।
তবে হোয়াইট হাউস এখনো এই ব্যাক-চ্যানেল বার্তা কীভাবে পৌঁছানো হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। যদিও, এই পরিস্থিতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সংঘাত নিয়ন্ত্রণে রাখার এবং আলোচনার দরজা খোলা রাখার ইচ্ছার প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখযোগ্য যে, ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যোগাযোগ বেশ কিছুদিন ধরে স্থগিত রয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিছু নির্দিষ্ট স্তরে চিঠিপত্র বা বার্তা আদান-প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এমন এক সময়ে এই কূটনৈতিক বার্তা এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আবারও চড়ছে এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের দিকেও এখন নজর রাখা জরুরি যে, তারা এই বার্তার কী প্রতিক্রিয়া দেখায়। কারণ এই আশ্বাসমূলক বার্তা হয়তো পারমাণবিক আলোচনার ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।