সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের নেত্রী সাবিনা আক্তার তুহিন (Sabina Akter Tuhin) কে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (Dhaka Metropolitan Police – DMP)।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, রোববার রাতে রাজধানীর নবাবগঞ্জ এলাকা থেকে সাবিনাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তবে তিনি জানান, কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি।
গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক সূত্র বলছে, সাবিনা আক্তার তুহিনের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় উসকানির ভূমিকা এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার মতো অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই এসব অভিযোগে তাঁর ওপর নজর রাখছিল গোয়েন্দা সংস্থা। অবশেষে এসব তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাবিনা আক্তার তুহিন আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতির পরিচিত মুখ। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দলের একাংশের ভেতরে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও সমালোচনা বাড়ছিল। এমনকি বিভিন্ন সময় তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে দলীয় ফোরামেও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
তাঁর গ্রেপ্তারের খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে এ গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানানো হচ্ছে, অন্যদিকে এটিকে প্রতিপক্ষ দমন নীতির অংশ বলেও আখ্যা দিচ্ছে কেউ কেউ। যদিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, যাঁর বিরুদ্ধেই প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
সাবিনা আক্তার তুহিন বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শিগগিরই তাঁকে আদালতে তোলা হতে পারে।