সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল (Masud Kamal) মনে করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে সেই দল, যেটিকে দৃশ্যত ও আইনত রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে—আওয়ামী লীগ। তার ভাষায়, “অনেকে বলবেন, আওয়ামী লীগ তো নেই, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু মজার বিষয় হলো—যে দলটি নেই, মিছিল করতে পারছে না, মিটিং করতে পারছে না, সেই দলটিই এখন আলোচনার কেন্দ্রে।”
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ও অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন এমনভাবে কাজ করছে যেন আওয়ামী লীগ (Awami League) একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। “সরকার তাকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিয়েছে,” মন্তব্য করে মাসুদ কামাল বলেন, “এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যদি নিরপেক্ষ বলতেই হয়, তাহলে বলতে হয়—এই ‘নিরপেক্ষ সরকার’ আওয়ামী লীগকে দেশের রাজনীতি থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলার সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
তার মতে, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে যে কৌশল নিচ্ছে, তা বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। “যা যা করার দরকার, ওনারা সব করছেন,” বলেন তিনি। অথচ আইনগতভাবে এই সরকারকে ‘নিরপেক্ষ’ বলতেই হয়।
আওয়ামী লীগ কী পরিমাণ আসন পেত—তা এখন বলা কঠিন বলে মত দিয়েছেন মাসুদ কামাল। তবে তার মতে, “হয়তো মানুষের তীব্র ঘৃণার মুখেও পড়তে পারতো, কিন্তু যে দলটা দৃশ্য থেকে হারিয়ে গেছে, এখন সেই দলটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলে পরিণত হয়েছে।”
এ বক্তব্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি নিয়েই উল্টোপথে তৈরি হওয়া গুরুত্ব ও আলোচনা উঠে এসেছে। নিষ্ক্রিয় করা দলটি কীভাবে কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, সেটাই যেন রাজনৈতিক বাস্তবতার এক বড় পরিহাস।
