চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুনের গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এই গ্রেফতারে সন্তোষ প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করেছেন, আবার পরিবার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) বিকেলে উপজেলার ফুটানিবাজার এলাকায় একদল স্থানীয় বাসিন্দা শাহনাজ খাতুনের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মানুষ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার হাতেই।
স্থানীয় এক নারী, আরাফুল বেগম বলেন, ‘শাহনাজ ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালে সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে, এটা আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। এজন্য আমরা মিষ্টি বিতরণ করেছি এবং ভোলাহাট থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’
তবে শাহনাজ খাতুনের ভাই শাহ কবির এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘আমার বোন সম্পূর্ণ নির্দোষ। একটি বিশেষ পক্ষ তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে। তারাই এখন জনমত গঠনের জন্য এসব মিষ্টি বিতরণ করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে শাহনাজ খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি জানান, গত ২৩ জুন ভোলাহাটে এক পারিবারিক কলহের জেরে তাজকেরা খাতুন নামে এক নারী তার স্বামীর গায়ে গরম ডাল ঢেলে দেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায় এবং তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Rajshahi Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় আহত ব্যক্তির ভাই থানায় মামলা করেন।
ওসি শহিদুল ইসলাম আরও জানান, মামলার তদন্তে উঠে আসে যে, এই ঘটনায় সহিংসতায় উসকানির ভূমিকা ছিল শাহনাজ খাতুনের। সেই প্রেক্ষিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এলাকায় শাহনাজ খাতুনের গ্রেফতার নিয়ে জনমত বিভক্ত। কেউ একে ন্যায়ের প্রতিফলন মনে করছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই আখ্যায়িত করছেন।