আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন পেছাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আমিনুল হক। তিনি দাবি করেছেন, এসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে বিদেশি শক্তি এবং আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের সহযোগিতায়। তবে তিনি জানিয়েছেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক—সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই।
রোববার (২৯ জুন) পল্লবী ও রূপনগর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
তিনি বলেন, “কিছু উপদেষ্টা এখনও নির্বাচন পেছাতে তৎপর। কিন্তু তারা সফল হবে না। ইনশাআল্লাহ, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সেই নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতেই হবে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে গঠিত হবে একটি মানবিক রাষ্ট্র।”
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান -এর নেতৃত্বে সেই মানবিক রাষ্ট্র গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করে আমিনুল বলেন, “জনগণের সরকারই মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে। বিএনপিই সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।”
সরকারের সমালোচনা করে আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে মানুষ শুধু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সত্য বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। জনগণের ওপর তাদের কোনো আস্থা ছিল না, নেই।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময়ই জনগণের মত ও চাহিদার ভিত্তিতে চলে এবং তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। “যারা আওয়ামী দোসর হিসেবে চিহ্নিত, তাদের যদি কেউ দলে আনার চেষ্টা করে, তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সদস্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমরা দলে নতুন সদস্য হিসেবে সমাজে গ্রহণযোগ্য, ভালো চরিত্রের মানুষদের চাই। তাদের মাধ্যমেই বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করে তুলব।”
মাদকবিরোধী অবস্থানে অনড় থেকে আমিনুল বলেন, “মাদক একটি একটি করে পরিবার ধ্বংস করে দিচ্ছে। যারা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের এখনই ভালো পথে ফিরে আসা উচিত। নইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, একটি সুস্থ জাতি গঠনের জন্য পরিবর্তন জরুরি। “এই পরিবর্তন আনব আমরা, জনগণের শক্তিতে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হোসাইন খান এবং রূপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক। এ ছাড়া মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামানসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন।