বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও (Marco Rubio) এক টেলিফোন আলাপে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির বিষয়ে পুনঃপ্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানান। তিনি লেখেন, “আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ১৫ মিনিটব্যাপী এই আলোচনা ছিল আন্তরিক, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক।”
এই ফোনালাপের বিষয়বস্তুতে ছিল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানোর ব্যাপারে উভয়পক্ষ আগ্রহ প্রকাশ করে। পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস (Tammy Bruce) জানান, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এবং প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস উভয়েই পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে দেখে এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বিশ্ব রাজনীতির পটভূমিতে এই আলাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের বার্তা বহন করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনপূর্ব বাস্তবতায় এ ধরনের কূটনৈতিক কথোপকথন নতুন মাত্রা যোগ করল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষত যখন ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন।
এই আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্ট হলো, ওয়াশিংটনের দৃষ্টিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা ড. ইউনূস এখনও প্রাসঙ্গিক এবং তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের সংলাপ অব্যাহত থাকবে।