কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক নারীর ওপর বর্বরোচিত ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি (BNP) নেতা ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ (Kazi Shah Mofazzal Hossain Kaykobad) আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পেছনে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি (National Citizen Party-NCP) কে দায়ী করেছেন। সোমবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এনসিপির জন্মের পর থেকেই মুরাদনগরে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্ত চক্র।
বিবৃতিতে কায়কোবাদ বলেন, “আমার ৪০ বছরের রাজনীতিক জীবনে মুরাদনগরে এমন ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনা আগে কখনও শুনিনি। কিন্তু এখন এনসিপির ছত্রছায়ায় পুরনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গোষ্ঠী আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সংঘটিত এই নারকীয় ধর্ষণ কেবল একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়—এটি রাজনৈতিক পুনর্বাসনের ফল।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এই ধর্ষণের ঘটনায় সরকারের নির্লিপ্ততা এবং অপরাধীদের রক্ষা করার মনোভাবই তার প্রমাণ।”
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বহু নারী ও শিশুর ওপর ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, যার কোনোটিরই দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি। ফলে অপরাধীরা লাগামহীনভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। “যে রাষ্ট্রে নারীরা নিরাপদ নয়, সেখানে ন্যায়বিচার বলে কিছু থাকে না,”—এমন মন্তব্য করে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নতুন করে রাজনীতির মাঠে ফেরানোর যে প্রয়াস চলছে, তা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল। “জাতীয় ঐক্যের নামে এই পতিত ও ব্যর্থ দলকে যাঁরা মঞ্চে ফিরিয়ে আনছেন, তাঁরা জনগণের পিঠে ছুরি মারছেন,”—বলেন কায়কোবাদ।
শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে কায়কোবাদ বলেন, “দেশের প্রতিটি নাগরিককে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে নারীর নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।” তিনি মুরাদনগরের ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
