শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, ভার্চুয়াল বার্তায় জানালেন নিজেই

দীর্ঘ নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান (Tarique Rahman)। গতকাল (২ জুলাই) পটুয়াখালী জেলা বিএনপি (Patuakhali BNP)-র সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি ঘোষণা করেন, “খুব শিগগিরই দেশে ফিরছি।” তার এই বক্তব্যে নতুন করে চাঙ্গা হয়েছে বিএনপি (BNP)-র নেতাকর্মীরা, জেগে উঠেছে প্রত্যাশার স্পন্দন।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপিকে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “বড় দল মানেই বড় দায়িত্ব। যখনই গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে, বিএনপি রাজপথে নেমেছে।” তারেক রহমান জানান, সেই ঐতিহ্যকে সামনে রেখে দলকে আরও সুসংগঠিত করার কাজ চলছে।

তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি মজবুত করতে হলে বিএনপিকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। মতভেদ থাকলেও সমাধানের পথ খুঁজতে হবে আলোচনার মাধ্যমে।” গণতন্ত্রচর্চা প্রসঙ্গে তার মন্তব্য ছিল স্পষ্ট: “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই দলের ভেতরেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই।”

সাংগঠনিক বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “জনগণের সঙ্গেই থাকুন। কারণ বিএনপির সকল শক্তির উৎসই জনগণ। আমাদের আদর্শ ও নীতি তাদের কাছেই পৌঁছে দিতে হবে।”

রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি দলের নমনীয়তা তুলে ধরেন। বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবে অনেক ছাড় দিয়েছি। একমত না হয়েও গণতন্ত্রের স্বার্থে এগিয়ে গেছি, যাতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথ তৈরি হয়।”

দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তারেক রহমান নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন, “একজনের ভুল সবার ওপর বর্তানো উচিত নয়। এমন কিছু করা যাবে না যাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।” একইসঙ্গে তিনি জনগণের সঙ্গে দলীয় সম্পর্ক অটুট রাখার আহ্বান জানান।

বক্তব্যের শেষাংশে তারেক রহমান স্মরণ করিয়ে দেন, “ভোটাধিকার রক্ষায় আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যেন এই অধিকার হরণ করতে বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দুর্বল করতে না পারে।”

দীর্ঘ সময় ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এক নতুন মোড় হিসেবে দেখছেন। দেশের রাজনীতিতে তাঁর সরাসরি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা ও উত্তেজনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *