মাত্র ১০ জনের দলে, তবুও যৌ’-ন হয়রানি—এনসিপিকে তীব্র কটাক্ষ রুমিন ফারহানার

মাত্র ১০ জন নেতার একটি ছোট পরিসরের দল, কিন্তু তাতেও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে এসেছে—এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা (Barrister Rumeen Farhana)। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “১০ জন নেতার একটা দল, সেখানেও আমরা দেখি যৌন হয়রানি থেকে নিজের দলের নেত্রী নিজের দলের অতি পরিচিত জ্ঞানী নেতার হাত থেকে রেহাই পায় না।”

এই মন্তব্যটি তিনি করেন এনসিপির নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব (Ariful Islam Adib)-এর এক প্রশ্নের উত্তরে। সেখানেই তিনি বিএনপিকে নিয়ে এনসিপি পক্ষের নানা সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা আক্রমণ শানান।

রুমিন ফারহানা বলেন, “বিএনপি খুবই খারাপ—এমন কথা তো আমরা শুনতেই পাচ্ছি এনসিপির মুখে। তারা বলছে, বিএনপি এতটাই অধঃপতিত যে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, চাঁদাবাজি করে, এমনকি ম্যানিপুলেটিভ নির্বাচন করার চেষ্টাও করে। এই সব অভিযোগ তো এখন মানুষের সামনে উন্মুক্ত। আমলনামাটা সবার সামনে পরিষ্কার।”

কিন্তু সেই পাল্টা আক্রমণের ভাষা যে এতটা তীব্র ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যাবে, সেটিই যেন আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে “যৌন হয়রানি” শব্দটি যেভাবে উল্লেখ করেছেন রুমিন, তা সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে আলোচনার ঝড় তোলে।

টক শোতে আদীব এবং রুমিনের মধ্যে সরাসরি বিতর্কটি ছিল তুমুল, এবং তা রাজনীতির মাঠে নতুন এক উত্তাপের ইঙ্গিত দেয়। যেখানে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট দল, যার সদস্য সংখ্যা মাত্র ১০, সেখানেও নারী নেত্রী নিরাপদ নন—এমন বক্তব্য এনসিপির ভাবমূর্তি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

এছাড়াও, রুমিনের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, বিএনপিকে যেভাবে ছোট দলগুলোর পক্ষ থেকে নিয়মিত সমালোচনা করা হচ্ছে, সে ভাষার প্রতিউত্তর হিসেবে তার এই মন্তব্য এক প্রকার ‘বুমেরাং’-এর মতোই কাজ করতে পারে। কারণ যৌন হয়রানির মতো সংবেদনশীল বিষয় রাজনৈতিক আক্রমণের হাতিয়ার হয়ে ওঠা শুধু বিতর্কিত নয়, বরং আরও গভীর প্রশ্ন তোলে রাজনীতির নৈতিকতা নিয়েও।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *