আমি জানি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জটিল ইস্যু রয়েছে : যুক্তরাষ্ট্রের ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কিছু ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক। যারমধ্যে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার বিমানবন্দরে ভুলে ম্যাগাজিন নিয়ে যাওয়া এবং খিলক্ষেতের অনুনমোদিত হিন্দু মণ্ডপ উচ্ছেদ প্রসঙ্গ ছিল। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত প্রসঙ্গও ওঠে আসে প্রশ্নে।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তামি ব্রুস এ দুটি প্রশ্নের একটিরও উত্তর দেননি। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা বলেছেন তিনি। যদিও সেগুলো ছিল কৌশলী উত্তর।

ওই সাংবাদিক তামি ব্রুসকে প্রশ্ন করেন, “সম্প্রতি কোয়াড জোটের বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের আত্মরক্ষার সব অধিকার ভারতের আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন কোয়াডের সদস্যরা এটি বুঝবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এ বিষয়টি বিবেচনা করে— গত সপ্তাহে বিমানবন্দরে, গত বছর সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যবহৃত গোলাবারুদ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের লাগেজে পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে, আর গত সপ্তাহে বুলডুজার দিয়ে হিন্দু দুর্গা মন্দির ভাঙ্গার বিষয়টি বিবেচনা করে— আপনার প্রতিক্রিয়া কি?”

জবাবে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, “আমি জানি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জটিল ইস্যু রয়েছে। আরও তথ্যের জন্য আমি আপনাকে স্টেট.গভে চেক করার জন্য বলব। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্কো রুবিও কোয়াড বৈঠক নিয়ে অনেক তথ্য ও যৌথ বিবৃতি রয়েছে। ওই বৈঠক সম্পর্কে আপনাকে আমরা এ-ই জানাতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত বা অন্য কোনো দেশ নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতামত বর্ণনা করব না। কারণ এটি কূটনৈতিক বিষয়। আমি আরও তথ্যের জন্য আপনাকে যৌথ বিবৃতি দেখতে বলব।” এদিকে সাংবাদিক যে প্রশ্নটি করেছেন সেগুলো ছিল মিথ্যায় পরিপূর্ণ। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ স্পষ্ট করেছেন, তিনি ভুলক্রমে তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের ম্যাগাজিন বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়েছিলেন।

অপরদিকে খিলক্ষেতে কোনো মন্দির ভাঙা হয়নি। সেটি ছিল একটি মণ্ডপ। যা সরকারি জায়গায় বিনা অনুমতিতে বানানো হয়েছিল। আর এটি সরিয়ে নিতে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সরকারি জায়গায় তৈরি মণ্ডপটি উচ্ছেদ করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *