অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস (Dr. Yunus)–এর কার্যক্ষমতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল (Masud Kamal)। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ব্যর্থতার চূড়ায় পৌঁছেছে এবং ড. ইউনূসের এখন একমাত্র সম্মানজনক পথ হলো অবিলম্বে পদত্যাগ করা।
মাসুদ কামাল বলেন, “আমার সরল বিবেচনা হলো—ড. ইউনূস সরকার ব্যর্থ। এই প্রথম একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, যাদের আমলে দেশের ভেতরে এতটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সমাজজুড়ে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি প্রবল হয়ে উঠেছে, অথচ তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এমনকি একটি ভালো নির্বাচনের সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছি না তাদের কাছ থেকে। কাজেই আমি মনে করি, ড. ইউনূস সাহেবের উচিত হবে অনতিবিলম্বে চলে যাওয়া। উনার সরে যাওয়া ছাড়া আমি আর কোনো ভালো পথ দেখি না।”
এ সময় উপদেষ্টা পরিষদের ভূমিকারও কঠোর সমালোচনা করেন মাসুদ কামাল। তাঁর ভাষায়, “উনাকে তো ডুবিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। উদাহরণ দিই—এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে থাকতেন, তাহলে অন্তত তিনবার পদত্যাগ করতেন। কারণ, তাঁর পারফরম্যান্স প্রশ্নবিদ্ধ।”
গোপালগঞ্জ (Gopalganj)–এ সাম্প্রতিক হামলার সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মাসুদ কামাল বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কন্ট্রোল রুমে বসে মনিটর করছেন, সঙ্গে বসেছেন আসিফ মাহমুদ। এখন প্রশ্ন—কে এই আসিফ মাহমুদ? তিনি কি কোনো সন্ত্রাস দমন বিশেষজ্ঞ? তাঁর কি এ বিষয়ে সরকারি দায়িত্ব আছে বা অভিজ্ঞতা আছে? না, তিনি তো উপদেষ্টা পরিষদের সবচেয়ে কম অভিজ্ঞ সদস্য।”
তাঁর মতে, দোষ আসিফ মাহমুদের নয়, দোষটা পুরোপুরি ওই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার। “উনি কেন এমন একজনকে সঙ্গে নিয়েছেন যিনি এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনভিজ্ঞ? এমনকি পরে আসিফ মাহমুদ তা নিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন ফেসবুকে। এটা কি মানায়? এ ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিকভাবে কেমন বার্তা দিচ্ছে, সেটা কি ভাবছে কেউ?”
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে—নির্দলীয় সরকারের ভেতরের হতাশা, অব্যবস্থাপনা এবং জনসাধারণের আস্থাহীনতা। মাসুদ কামালের কথায় যেন প্রতিফলিত হয়েছে দেশের একটা বড় অংশের উদ্বেগ।