মাইলষ্টোন ট্রাজেডীর দিন রাতে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যখন গোটা দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, তখন ঠিক সেই মুহূর্তে নিখোঁজ ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার (C R Abrar)। রাত তিনটায় পরীক্ষার স্থগিতাদেশ ঘোষণার আগে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তার খোঁজ মেলেনি বলে দাবি করেছেন অপর উপদেষ্টা মাহফুজ।
পরিস্থিতির চাপ যখন চূড়ান্তে, তখন শিক্ষা উপদেষ্টার এমন ‘নিরুদ্দেশ’ হয়ে যাওয়া প্রশাসনিক সমন্বয় এবং জবাবদিহিতার বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টার ব্যর্থতা যখন প্রকাশ্য তখন দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় ‘শিক্ষা সচিবের’ ঘাড়ে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো গাফিলতি ছিল না দাবি করলেও আবরার সাফ জানান, পরীক্ষা স্থগিতে দায়িত্ববান শিক্ষা সচিবকে সরিয়ে দিয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কিছুই জানতেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে নিজের পদত্যাগের প্রসঙ্গ উঠতেই সুকৌশলে দায় ঠেলে দেন সরকারের দিকে। বলেন, “সরকার কিংবা নিয়োগকর্তারা চাইলে আমি পদত্যাগ করব, তবে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কোনো ইচ্ছা নেই।”
নেতৃত্বহীনতার এই দুর্বল মুহূর্তে যখন শিক্ষার্থীরা মাঠে, অভিভাবকরা আতঙ্কে এবং পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা চরমে—তখন দায়িত্ববান ব্যক্তিদের মধ্যে এই ধরণের ‘বল-পাসিং’ সংস্কৃতি কেবল সাধারণ মানুষের আস্থা হ্রাস করছে বলে মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক বলে স্বীকার করে শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ এবং পরীক্ষার্থীদের দাবি পূরণে কাজ করছে সরকার। সেই সঙ্গে বিমান প্রশিক্ষণের স্থান বদলেরও আহ্বান জানান তিনি।