অন্তর্বর্তী সরকারের শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে কি না, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur)। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে নিজ দলের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সরকারের ১১ মাসে যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, তা এখন দু:স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।”
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর বলেন, দেশের বর্তমান রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা চলছে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন, যাঁরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ, তাঁদের যেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকে—এ বিষয়েও কঠোর নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলছি, এই সরকারের মেয়াদ যতই হোক, তাদের অবস্থান স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হতে হবে। না হলে জনগণের আস্থাহীনতা আরও বাড়বে।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (Rashed Khan) বলেন, বর্তমান সরকার গত এক বছরে দেশে চলমান অরাজকতা ও অস্থিরতা নিরসনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দেশের পরিস্থিতি যেভাবে অবনতি হচ্ছে, তাতে করে জনগণের নিরাপত্তা কোথায়?”
তিনি আরও বলেন, “মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের আজও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।” এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনছে গণঅধিকার পরিষদ। প্রথম ধাপে দলটি সম্ভাব্য ৩৬ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে, যাঁদের প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ সবকিছুর মধ্যেই গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতারা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কিংবা কৃত্রিম অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতন্ত্রকে আরও সংকটে ফেলবে।”