গুলশানে ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জন বৈষম্যবিরোধী কমিটির সদস্য নন: দাবি সদস্য সচিবের

রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ যুবকের কেউই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুলশান থানার কমিটির সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্য সচিব সজীব সরদার নিহাল। তার দাবি, অভিযুক্তরা ভুয়া পরিচয়ে নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সাবেক নারী সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদ (Shammi Ahmed)-এর কাছে চাঁদা দাবি করেছিলেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে সাবেক এমপির কাছ থেকে এক কোটি টাকা দাবি করেন পাঁচজনের একটি দল। পরে তারা ১০ লাখ টাকা নেওয়ার সময় গুলশান থানা পুলিশ হাতে-নাতে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ, যিনি এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নিজেকে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এই ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান থানার সামনে গিয়ে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুলশান শাখার নেতারা। সদস্য সচিব সজীব সরদার নিহাল বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা আমাদের ২০১ সদস্যের কমিটির কেউ নয়। অথচ তারা সবসময় গুলশান থানার সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দেয়। এটা পুরোপুরি মিথ্যা পরিচয়।”

তিনি আরও জানান, “রিয়াদ নামের একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি ভাটারা এলাকা থেকেও আগে টাকা নিয়েছিল। আজও ১ কোটি টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমাদের সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বারবার প্রতারণা করছে তারা। এতে গুলশান থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”

নিহাল দাবি করেন, অভিযুক্তরা গুলশানের কমিটিতে ঢোকারও চেষ্টা করছিল যাতে ভবিষ্যতে এভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাওয়া সহজ হয়। তবে সংগঠনটির সমন্বয়ক পরিচয় অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে। “সমন্বয়ক পরিচয় এখন আর বৈধ নয়। সেই পরিচয়ে কেউ কাজ করলে তা সম্পূর্ণ বেআইনি।”, বলেন তিনি।

বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে গুলশান থানা পুলিশ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *