বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) এখন সুস্থ আছেন এবং তিনি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু (Abdul Awal Mintoo)। বুধবার দুপুরে ফেনী শহরের একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।
মিন্টু বলেন, “আমাদের দলের নেত্রীও এবার নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন। ফেনী নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই।”
তার মতে, ফেনীর রাজনৈতিক ইতিহাস প্রমাণ করে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির জয় সুনিশ্চিত। “নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়, ইনশাআল্লাহ আমরা ফেনীতে জয়লাভ করবো,” বলেন তিনি।
নির্বাচন কবে?—আশা ফেব্রুয়ারিতে, হতে পারে জানুয়ারিতেও
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে লন্ডনে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে যৌথ বিবৃতির কথা স্মরণ করিয়ে মিন্টু জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী জানুয়ারিতেই নির্বাচন হয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে একটি মামলা চলমান। যদি কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রবর্তিত হয়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই সেটির ভূমিকা পালন করবে। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে।”
জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়
সরকারের জবাবদিহিতার ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরে মিন্টু বলেন, “বিগত ১৯ বছর ধরে আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম, নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কেউ যদি বলে আমরা হঠাৎ নির্বাচন চাইছি, সেটা ঠিক নয়। ২০০৬ সাল থেকেই আমরা নির্বাচন দাবি করে আসছি।”
তিনি আরও বলেন, “একটি সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না হয়, তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করতে পারে না। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই একটি সঠিক সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব, আর সেটাই আমরা চাই।”
২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অনাস্থা বহাল
আবদুল আউয়াল মিন্টু মনে করিয়ে দেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না বলেই বিএনপি বরাবর তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তার মতে, ২০০৬ সাল থেকে দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই এবং দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনহীন শাসনের ফলে অর্থনীতি ও জনগণের জীবনমান ব্যাহত হয়েছে।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। সেজন্যই আমরা একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে।”