এলাকায় এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–র নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বাধা ও ভয়ভীতির অভিযোগ তুলে দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক দৃঢ় বার্তা দিয়েছেন—“কোনো নেতাকর্মীর দিকে চোখ তুলে তাকালেও তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।”
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এনসিপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সদ্য ঘোষিত ২৪ দফা ইশতেহার ঘিরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এনসিপির কার্যক্রম ও জনসংযোগ বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটেই নেতাকর্মীদের মনোবল অটুট রাখতে তিনি বলেন, “এখন আমাদের কাজ করার সময়। আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আপনারা কেউ ভয় পাবেন না, কেউ পিছু হটবেন না।”
সমাবেশে তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি—এলাকায় এলাকায় আপনাদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সরকারদলীয় বাহিনী, প্রশাসনের কিছু অংশ এবং কিছু অপরাধীচক্র—তারা আপনাদের রুখে দিতে চায়। কিন্তু মনে রাখবেন, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া—সারা দেশজুড়ে এনসিপির সংগঠন ছড়িয়ে পড়ছে। এক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হলে তা গোটা রাজনৈতিক আন্দোলনের ওপর আঘাত হিসেবে নেওয়া হবে, এবং আমরা রাজনৈতিকভাবেই তার জবাব দেব।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “এই সংগ্রাম একা কারও নয়—এই সংগ্রাম আমাদের সবার। আমাদের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন যেসব দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, আমরা সেগুলো জীবন দিয়ে হলেও বাস্তবায়ন করব।”
তিনি বলেন, “এটি কেবল রাজনৈতিক দল নয়—এটি একটি গণমানুষের চেতনার প্ল্যাটফর্ম। কাজেই, যদি কেউ এই চেতনাকে আঘাত করতে আসে, আমরা তা নীরবে দেখব না।”
সমাবেশের শেষ দিকে তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, “ভয় নয়, সাহসই আমাদের মূল শক্তি। আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণ না করা পর্যন্ত থামব না।”
এই বক্তব্যের সময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে। অনেকেই মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে ‘জুলাই চেতনা’, ‘নতুন সংবিধান চাই’ স্লোগানে সমবেত হন।