তারেক রহমান (Tarique Rahman), বিএনপির (BNP) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সম্প্রতি লন্ডনে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন (US) ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের (Tracy Ann Jacobson) সঙ্গে। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের খবর বুধবার (৬ আগস্ট) সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর।
তিনি জানান, এটি ছিল মূলত এক সৌজন্য সাক্ষাৎ, যেখানে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ভবিষ্যৎ নির্বাচন এবং তারেক রহমানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। হুমায়ুন কবীরের ভাষায়, “রাষ্ট্রদূত তারেক রহমানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হতে চেয়েছিলেন। ১৫ বছর ধরে তিনি কীভাবে দল পরিচালনা করছেন এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সে বিষয়ে বিশদভাবে শুনেছেন।”
রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরা হয়, কীভাবে লন্ডন থেকে দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছেন তারেক রহমান, এবং কিভাবে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন’ সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, “তারেক রহমান এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা। আগামী নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন সম্ভাবনার দিকেই নজর রাখছে বিশ্ব।”
বৈঠকে আরও আলোচনা হয়, নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ এবং দেশে ফিরে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া নিয়ে। হুমায়ুন কবীর ইঙ্গিত দেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, নভেম্বর-ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা হবে, এবং সে অনুযায়ী তারেক রহমান চলতি বছরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন।
বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল, তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক মহলে তার প্রতি আগ্রহ—সব মিলিয়ে এই বৈঠকটি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক চিত্রপটে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।