বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন (Major Hafiz Uddin) অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের ঘোষণায় উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্যের ‘মন খুবই খারাপ’। শুধু তাই নয়, যেসব রাজনৈতিক দলের জনসমর্থন নেই এবং যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল—তাদেরও নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার বিকেলে রাজশাহীতে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিজয় শোভাযাত্রা-পরবর্তী এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। নগরীর আলুপট্টি মোড়ে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনের ঘোষণা আসায় উপদেষ্টা পরিষদের কোনো কোনো সদস্যের মন খারাপ হয়ে গেছে। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই—তিনি তাঁর ওয়াদা রেখেছেন।’
তিনি জানান, ‘কিছুদিন আগে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) লন্ডনে আমাদের নেতা তারেক রহমান (Tarique Rahman)-এর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন আমরা দেখছি তিনি সেই কথা রেখেছেন, এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।’
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ নয়, বরং যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় এবং জনগণ দায়িত্ব দেয়, তবে তাদের দল সেই দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘এই দল জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman)-এর গড়া দল। আমরা জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করি, ক্ষমতার লোভে নয়।’
তবে মেজর হাফিজের বক্তব্যে সরাসরি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জও উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি দল আছে, যাদের জনসমর্থন নেই, তাদের কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধের সময় এর বিরোধিতা করেছিল। সেসব দল আজ চায় না নির্বাচন হোক। তাদের মধ্যে অনেকে গত এক বছরে ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে গেছে এবং তারা চায় এভাবেই সময় কাটিয়ে দিতে।’
তিনি এমন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন, ‘তাদের মন খুব খারাপ, কারণ তারা জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। সেজন্যই তারা চায় না নির্বাচন হোক।’
এই বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতায় তারা সবাই নির্বাচন আয়োজন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি জানান।