জুলাই আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যারা থাকবে না, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে : নুরুল হক নুর

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘যেসব দল নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চায় না, তারা সংস্কারও চায় না। জুলাই আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যারা থাকবে না, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। এ আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে সফল হয়নি, এটা করেছে ছাত্র-জনতা।’

রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো সমাবেশে যোগ দিয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার থেকে ২৪-এর রাষ্ট্র সংস্কারের স্মৃতিচারো এবং গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জুলাই হয়েছে তার এক বছর হয়ে গেলেও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। আমরা আবারও পুরনো ফ্যাসিবাদ দেখতে পাচ্ছি। পুরনো মডেলের রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে হয়নি।

যেদিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির লাইসেন্স দেখতে চেয়েছিল ছাত্ররা, সেদিনই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রকৃত আন্দোলন শুরু হয়েছিল।’

নির্বাচন সম্পর্কে নুর বলেন, ‘জরিপে উঠে আসছে ১২ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে, ১০ শতাংশ জামায়াতকে ভোট দিতে চায়। আর ১৪ শতাংশ মানুষ কাউকে ভোট দিতে চায় না। তাহলে বাকি ভোট কারা পাবে? যারা জনগণের পাশে থাকবে তারাই পাবে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি পুরাতন রাজনীতির বিরুদ্ধে নতুন রাজনীতি তুলে ধরতে পারেন, মানুষকে বুঝাতে পারেন তাহলে আমরা ভোট পাব। আমাদের টিটকারির জবাব শিক্ষার্থীরা ডাকসুতে দিয়েছিল আমাকে ভিপি নির্বাচিত করে।’

নুর আরো বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ পরিবর্তনে তরুণরায় ভরসা। তাদের ওপর ভরসা রাখলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। লোক কমবেশি দিয়ে কোনো সমাবেশকে মূল্যায়ন করাকে আমি গুরুত্ব দিই না।

বাপ-বেটির শাসন নিয়ে কথা বলেন ভিপি নুর। বলেন, ‘দেশের মানুষ শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তাকে দেবতা ভেবে সব সঁপে দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তার মর্যাদা রাখেননি। মুজিব কী করেছিলেন? দেশের মানুষ তা সবই জানে, নায়ক থেকে ভিলেন বনে গিয়েছিলেন। তার মেয়ে শেখ হাসিনা ১৬ বছরে যা করেছে তার কর্মের ফলে সে পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েও পায়ে জুতা পরার সময় পায়নি পালানোর সময়। বাপ-বেটি দুজনই উচিত জবাব পেয়েছে।’

পিআর পদ্ধতির পক্ষে তিনি জোরালো বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘নিম্নকক্ষে না হলেও উচ্চকক্ষে যেন এই নির্বাচন পদ্ধতির বাস্তবায়ন হয় এবং আসন্ন নির্বাচনেই তা হতে হবে। তাতে ছোট-বড় সব দলই সংসদে থাকবে। এটা একটা ভালো পদ্ধতি, যারা চায় না, তারা সংস্কার চায় না।’

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদ, রাজশাহীর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল। প্রধান বক্তা ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মীর মোহাম্মদ শাজাহান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী জেলা গণ অধিকার পরিষদ সভাপতি আজিজুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি মো. সুমন কবির, গণ অধিকার পরিষদ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *