এনসিপি (NCP) থেকে হঠাৎ করেই কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বহিষ্কৃত হয়েছেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য নেতা মাহিন সরকার (Mahin Sarkar)। এ সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে প্রবল আলোচনার ঝড়। সংগঠন থেকে বহিষ্কারের পর নিজেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানে তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নানা অধ্যায়ের কথা তুলে ধরে নেতাদের অতীতের স্মৃতি মনে করিয়ে দেন।
মাহিন সরকারের আবেগঘন সেই পোস্টে উঠে এসেছে নিজের সংগ্রামের ইতিহাসও। তিনি লিখেছেন, “আমার অনাগত সন্তানের কাছে বলার মতো গল্প আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমার রক্ত ঝরেছে। যখন গানপয়েন্টে ছয়জন সমন্বয়ক কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন, তখন আমি বলেছিলাম—‘মানি না’। পরবর্তীতে আমি এবং আরও তিনজন সমন্বয়ক বাকি সমন্বয়কদের বৈধতা দিয়েছিলাম।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর ন্যায়বিচারের দাবিতে তিনি মাঠে নামলেও, তখন তার পাশে কেউ দাঁড়াননি। অথচ আজ তাকে বিনা নোটিশে বহিষ্কার করা হলো। তার ভাষায়, “আমি তো অন্তত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটুকু পাওয়ার কথা ছিলো। গুরুতর আর্থিক অনিয়ম বা চারিত্রিক স্খলনের অভিযোগ থাকলেও সংগঠনগুলোতে সেই সুযোগ দেওয়া হয়। অথচ আমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।”
বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহিন সরকার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানের ব্যানার তার হাতেই উন্মোচিত হয়েছিল। অথচ সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের একজন নেতাকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তার পোস্টের শেষদিকে তিনি আস্থা প্রকাশ করেছেন নিয়তির ওপর। লিখেছেন, *“আমি সবসময় বিশ্বাস করি বিজয় আসমান থেকেই আসে, জমিনে তার প্রতিফলন হয় মাত্র।”