ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল শুনানির সময় ঘটে যাওয়া হাতাহাতির ঘটনায় নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় এনসিপি নেতা আহত হওয়ার অভিযোগকে ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা (Rumin Farhana)-র বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম (Sarjis Alam)।
রবিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে সারজিস আলম শুধু হামলার বিষয়েই নয়, বরং রুমিন ফারহানার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি— “একদিকে রুমিন ফারহানার পোষ্য কর্মীরা এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে শারীরিকভাবে আঘাত করছে, আর অন্যদিকে তিনি আইনজীবীর ভাব নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থেকেও দেখেও না দেখার ভান করছেন।”
তিনি আরও লেখেন, “টকশোতে বড় বড় কথা বলা সহজ, কিন্তু কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায় কারা সুযোগ পেলে পুরনো পথে হাঁটবে আর কারা নিজেদের সংশোধন করবে।”
ইসি কার্যালয়ের আপিল শুনানিতে যোগ দিতে গিয়ে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ রুমিন ফারহানার কর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সারজিস। তাঁর কথায়, “আতাউল্লাহর একমাত্র অপরাধ ছিল সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরুদ্ধে আপিল করা।”
ফেসবুক পোস্টে তিনি বিএনপির দিকেও কড়া প্রশ্ন ছুড়ে দেন— “বিএনপি কি আবার আওয়ামী লীগের চরিত্রে ফিরতে চায়? তারা কি জোর যার, মুলুক তার নীতি চালু করতে চাইছে?”
সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। যদি ইসির ভেতরে একজন শীর্ষ নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায়, তবে এই অথর্ব নির্বাচন কমিশন কীভাবে সারাদেশে অন্য দলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে? কীভাবে সুষ্ঠু ভোট সম্পন্ন করবে?”