বরিশালে অবস্থানকালে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর বাংলাবাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। যাত্রাবাড়ীতে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি হিসেবে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর বাংলাবাজারের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশের একটি বাসা থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরপরই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
পূর্বে, গত ১৭ আগস্ট একই মামলার ২২ নম্বর আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় তৌহিদের বাবা মো. নাসির উদ্দিন সাথীকে।
মামলার পটভূমি ঘেঁটে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে মূল অভিযোগ ছিল একটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও আন্দোলনকারীদের হত্যার ঘটনা নিয়ে। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (CID)।
এই মামলায় সবচেয়ে বিতর্কিত দিক হচ্ছে আসামির তালিকা। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)-কে। দ্বিতীয় নম্বর আসামি ওবায়দুল কাদের (Obaidul Quader), যিনি সাবেক সেতুমন্ত্রী এবং তৃতীয় নম্বরে রয়েছেন সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন (Abdullah Al Mamun)।
মোট ২৫ জনকে এই মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় আরও প্রায় ১৫০ জনকে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।
তৌহিদ আফ্রিদি, যিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিত, তার গ্রেপ্তার নিয়ে অনলাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই বিষয়টিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার পক্ষে মত দিচ্ছেন।
c