রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি (Touhid Afridi) গ্রেপ্তারের পর আদালতে উপস্থাপন করে তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশেদ খাঁন (Rashed Khan), যিনি বর্তমানে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাশেদ খাঁন দাবি করেন, তৌহিদ আফ্রিদিকে যেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি আসলে একটি “ভুয়া মামলা”। তার ভাষায়, “যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা নিছক একটা ভুয়া মামলা। ভুয়া মামলায় কেন তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে?”
তিনি আরও লিখেছেন, আফ্রিদি যদি কারও তেলবাজি করে থাকে বা দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার হওয়া উচিত ছিল। তবে হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগে তাকে আটক করা আইনের শাসনের পরিপন্থী। রাশেদ খাঁন স্পষ্ট করে জানান, ব্যক্তিগতভাবে তিনি কখনোই তৌহিদ আফ্রিদিকে পছন্দ করেননি এবং তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও বরাবরই প্রতিবাদ করে আসছেন। তার মতে, এ ধরনের তেলবাজরা তরুণদের আদর্শ হতে পারে না।
তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, সরাসরি আওয়ামী লীগের পদে থাকা ডামি এমপি বা মন্ত্রীরা যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে, তারা কেন গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। অথচ তাদের অনেককে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়েই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে এবং বিচার শেষ হওয়ার আগেই জামিনের সুবিধাও পাচ্ছেন।
স্ট্যাটাসে রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেন, এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহলের বিরাগভাজন হয়ে আসছেন। তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন, যারা আগে তার সমালোচনা করতেন, তারা এখন সরাসরি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) ও তার সরকারের সমালোচনায় নেমেছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ নিয়ে বিরোধের কারণে তাদের এই অবস্থান বদলেছে।
উল্লেখ্য, তৌহিদ আফ্রিদিকে রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে সিআইডির একটি দল বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে তার বাবা নাসিরকে আটক করা হয়েছিল।