আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে বিএনপি (BNP)। দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে নির্বাচনী পরিবেশের একটি ইতিবাচক ধারা তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়। এতে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের কথা জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।
রোডম্যাপ ঘোষণার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir), স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ পৃথক প্রতিক্রিয়ায় জানান, তারা এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট।
মির্জা ফখরুল বলেন, “রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে। আমরা এতে আশাবাদী হয়েছি যে, নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। মূল কথা হচ্ছে, আমরা খুশি—উই আর হ্যাপি।” সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এটিকে জনগণের জন্য ‘সুসংবাদ’ বলেও উল্লেখ করেন।
বিকেলে বনানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ইলেকশনের রোডম্যাপ আজকে এসেছে, এটা সুসংবাদ। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাচ্ছে। সবাই অপেক্ষা করছে—একটা নির্বাচন হবে, নির্বাচিত সরকার আসবে, সংসদ প্রতিষ্ঠা হবে, যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি করবে। জনগণ এখন তাদের সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে—আই ক্যান ফিল ইট অলরেডি।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ (Salahuddin Ahmed) মানবজমিনকে বলেন, “আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই। এটা বহুল প্রত্যাশিত, জনপ্রত্যাশিত এবং রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশিত রোডম্যাপ ঘোষিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম সংশয় বা শঙ্কা নেই। আশা করি, নির্বাচন কমিশন এই রোডম্যাপ অনুযায়ী সব আয়োজন শেষ করবে এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এটাই জাতির প্রত্যাশা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এখন মানুষ নির্বাচনের দিকে ঝুঁকছে। দেশে ইতোমধ্যে নির্বাচনমুখী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সুতরাং নির্বাচনের বিপক্ষে কোনো বক্তব্য কোথাও টিকবে না বলে আমি মনে করি।”