রাজধানীর আদাবর এলাকায় আবারও কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহ তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর সরাসরি হামলা চালিয়েছে গ্যাং সদস্যরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আদাবর থানার পুলিশ সদস্য আল-আমিন (Al-Amin)। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই রাতে সুনিবিড় হাউজিংয়ের একটি গ্যারেজে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আদাবরের কিশোর গ্যাং চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য জনি ও রনি দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা এক পর্যায়ে আল-আমিনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে, ফলে তিনি গুরুতর জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাং “কবজি কাটা” গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত জনি ও রনি। বর্তমানে কারাগারে থাকা ‘কবজি কাটা’ আনোয়ারের হয়ে পুরো আদাবর এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে এ duo। তারা বালুর মাঠকেন্দ্রিক একটি ঘাঁটি গড়ে এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও তাদের হাতে একাধিক মানুষ কুপিয়ে খুন হয়েছেন।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ একাধিকবার এই চক্রকে গ্রেপ্তার করলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। মুক্তির পর আবারও একইভাবে এলাকায় সন্ত্রাস চালায় তারা, ফলে ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে সাধারণ মানুষদের।
ঘটনার বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান (Ibne Mizan) গণমাধ্যমকে জানান, “সোমবার রাতে ৯৯৯-এ দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় পুলিশ সদস্য আল-আমিন গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি পক্ষ এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তার হাতে গভীর কোপের আঘাত লেগেছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার পেছনে কারা জড়িত এবং তারা কোন গ্রুপের সদস্য, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।”