খুলনায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে অবস্থিত জাতীয় পার্টি (Jatiya Party) মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, মিছিল থেকে বেরিয়ে আসা কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়ের সাইনবোর্ড খুলে ফেলে দেয় এবং অফিসের গ্রিল ও লাইট ভাঙচুর করে।
এ সময় অফিস থেকে বিভিন্ন মালামাল লুটপাটের অভিযোগও তোলা হয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা শুধু আসবাবপত্রই নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসহ নানান জিনিসপত্র নষ্ট করেছে। তাদের দাবি, সংঘাত এড়াতে তারা প্রতিরোধে নামেননি, তবে প্রশাসনের ভূমিকা ছিল সম্পূর্ণ নীরব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur) ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করা হয়। ফেরিঘাট মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ডাকবাংলো মোড়ে এসে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে আক্রমণ চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে পুলিশের হস্তক্ষেপে।
তবে এখানেই শেষ হয়নি উত্তেজনা। ঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা ফেরিঘাট মোড়ে গিয়ে সড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে।
গণঅধিকার পরিষদ খুলনা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম এস কে রাশেদ জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তার ভাষ্য, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।”
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে, লুটপাট হয়েছে, ডকুমেন্ট নষ্ট করা হয়েছে। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘাত এড়িয়েছি, কিন্তু প্রশাসন কোনো ভূমিকা রাখেনি।”
খুলনা সদর থানার ওসি মো. হাওলাদার হোসাইন মাসুম এ বিষয়ে বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। তবে পুলিশের প্রতিহত করার কারণে তারা পরে সরে গিয়ে ফেরিঘাট মোড়ে সমাবেশ করে।
জাতীয় পার্টির দাবি, কার্যালয় থেকে সাইনবোর্ড ও গ্রিলসহ বিভিন্ন মালামাল ও কাগজপত্র নিয়ে যায় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে খুলনায়।