ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী (Nusrat Jahan Rafi) হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বর্তমান ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলম (Shah Alam)-এর বিচারের দাবিতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনেরা মানববন্ধন করেছেন। গতকাল বুধবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার মোড়ে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে অংশ নিতে স্বজনেরা ফেনী থেকে সেখানে আসেন।
তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত সহিংসতায় রূপ নেয়। মানববন্ধন চলাকালে জেলা যুবদলের সদস্য আব্দুল মতিন (Abdul Matin)-এর নেতৃত্বে একদল লোক হামলা চালায়। তারা মানববন্ধনের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়, উপস্থিত সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করে। ঘটনায় সাংবাদিক মো. রাকিবুল হাসান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, ২০১৯ সালে নুসরাত হত্যার তদন্ত করেন তৎকালীন পিবিআই কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলম। তাদের অভিযোগ, সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমারের নির্দেশে নিরপরাধদের রিমান্ডে এনে স্বীকারোক্তি আদায়, ঘুষ গ্রহণ এবং মামলাটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই কারণে শাহ আলমের বিচারের দাবিতে তারা থানার সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন। তাদের দাবি, ওসির মদদেই যুবদল নেতা মতিন ও তার অনুসারীরা হামলা চালিয়েছে।
ঘটনার শিকার সাংবাদিক রাকিবুল হাসান বলেন, “নিউজ সংগ্রহ করার সময় যুবদল নেতা মতিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমরা মামলা করেছি, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
অন্যদিকে, ওসি শাহ আলম নিজেকে দায়মুক্ত করে বলেন, “আমি তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিবেদন দিয়েছি, বিচার করেছে আদালত। তারা ন্যায়বিচার পাননি মনে করে মানববন্ধন করেছেন। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
এদিকে মানববন্ধনে হামলার ঘটনায় যুবদলও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। গতকাল রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেলের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, আব্দুল মতিনের জেলা যুবদলসহ সব পদ স্থগিত করা হয়েছে।