৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা, নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে : আবু বাকের

“নির্বাচন কমিশন প্রতিটি দিন তার নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে”—এই কড়া অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‌‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার (Abu Baker Mojumder)।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনে সার্বিক নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আবু বাকের বলেন, “আমরা অনেক আগেই নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু সেই শঙ্কা আরও গভীর হয়েছে। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে, কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”

নির্বাচনের কেন্দ্র বিন্যাস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আবু বাকের বলেন, “যেভাবে কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো শিক্ষার্থীদের অনুকূলে নয়। কার্জন হলে একটি ভবনে তিনটি হলের কেন্দ্র দেওয়া হয়েছে, যেখানে আরও ভবন ছিল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের কেন্দ্র রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে। আর উদয়ন স্কুলে দেওয়া হয়েছে হলপাড়ার কয়েকটি হলের কেন্দ্র। এতে করে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করার স্পষ্ট চেষ্টা রয়েছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ জামায়াতের নেতারা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে চাপ দিচ্ছে। কিভাবে তারা ঠিকানা পেল, সেটি নিয়েও আমরা শঙ্কিত। শোনা যাচ্ছে, প্রশাসনেরই কেউ এই তথ্য সরবরাহ করেছে।”

তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনি যদি ভোট দিতে চান, আগে নিজে ঢাবিতে ভর্তি হন, তারপর বিবেচনা করে ভোট দিন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ভোটের জন্য চাপ সৃষ্টি করবেন না।”

সংবাদ সম্মেলনে ওই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী কাদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আচরণবিধি ঠিক করে দিয়েছে, আমরা তা মেনেই প্রচারণা চালিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ তা মানছে না।”

তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছে। ফোকাস থেকে ফোন করে শিবিরের পক্ষে ভোট চাওয়া হচ্ছে। এমনকি ক্যাম্পাসে জামায়াতের কিছু লোকজন প্রকাশ্যে শিবিরের প্রচারণা করছে। হলগুলোতে যাওয়ার সময় দেখি, লেগুনা ভাড়া করে নাজিরাবাজার নেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। সবকিছুই আচরণবিধির লঙ্ঘন।”

ভিপি প্রার্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যাকে খুশি ভোট দিন, কিন্তু নিজের বিবেককে অনুসরণ করে ভোট দিন। ভোট দিতে অবশ্যই আসবেন।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *