ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক (Zainul Abdin Farroque)। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতার অভিযোগ, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাস বিকৃত করার পাশাপাশি দেশবিরোধী একাধিক চুক্তি করেছেন। বর্তমানে শেখ হাসিনা তার মেয়েকে নিয়ে দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং বাংলাদেশের সর্বাধিক ক্ষতি করেছেন বলে অভিযোগ করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সেখানে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিকে তিনি বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতার জন্য ষড়যন্ত্র হিসেবে তুলে ধরেন।
ফারুক বলেন, সচিবালয়ে এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ঘোরাফেরা করছে। তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে। “আপনার নির্বাচন বানচাল করার জন্য যারা মরিয়া, তারা আপনার আশপাশেই রয়েছে,”—ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে সতর্কবার্তা দেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইঙ্গিত করে ফারুক বলেন, কমিশনের প্রধান কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা আবারও শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে, যা নির্বাচনের জন্য হুমকির ইঙ্গিত বহন করছে।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করবে না বিএনপি। অন্যদিকে ফারুক গণআন্দোলনে সম্পৃক্ত সকল শক্তিকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশকে ভালোবাসুন, দেশের মানুষকে ভালোবাসুন। হাসিনার মতো ভণ্ডামি নয়, সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়াকে দেশপ্রেম ও সততার কারণে যেমন মানুষ ভালোবেসেছে, তেমনি গত ১৬ বছর ধরে তারেক রহমানের নেতৃত্বেও আন্দোলন-সংগ্রামে মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছে। “আমার নেতা তারেক রহমান পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন—‘আমার ভোট আমি দেব, সেই ভোটে জিততে পারলে যারা আমাদের নির্যাতন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে’।”
‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সংগঠনের সহসভাপতি বাদল সরকার, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন সিরাজীসহ অন্যরা।