আমির হামজার বক্তব্য মিথ্যা, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলল ছাত্রদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Dhaka) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল নিয়ে আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা-র বক্তব্য ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত ১৬ বছর ওই হলে ছাত্রলীগ আজান দিতে দেয়নি। এমনকি তিনি দাবি করেন, ডাকসুতে শিবির জয়ী হওয়ার পর মসজিদে আজানের ধ্বনি শোনা যায়।

এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মুহসীন হলের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বলেন, আমির হামজার এই মন্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মনসুর রাফি বলেন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিক্ষার্থীদের আবাসিক কেন্দ্র। এখানকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে নামাজ আদায় করে এবং মসজিদের আজানের ধ্বনি শুনেই নামাজে অংশ নেন। অথচ আমির হামজা দাবি করছেন, দীর্ঘদিন এখানে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এই মন্তব্য শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

মনসুর রাফি আরও বলেন, “আমরা মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা ধর্মের মোড়কে দেওয়া অসত্য ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই নোংরা বক্তব্যের জন্য তাকে অবশ্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”

শাখা ছাত্রদল অভিযোগ জানিয়ে আরও দাবি করে, হল প্রশাসনের উচিত আনুষ্ঠানিকভাবে এই মিথ্যাচারের নিন্দা করা এবং আমির হামজাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা।

অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওয়াজ মাহফিলের আরেক অংশে মুফতি আমির হামজাকে বলতে শোনা যায়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে ১৬ বছর আজান দিতে দেয়নি জালেমরা। ছাত্রলীগের ভাইদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে বলে ফজরের আজান পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ডাকসুতে শিবির প্যানেল জয়ী হওয়ার পরদিন থেকে আজান শুরু হয়।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *