পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ গয়েশ্বরের

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (Goyeshwar Chandra Roy)। তার অভিযোগ, এই বিশেষ পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর লালবাগে দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠসংলগ্ন কেল্লার মোড় শ্মশান ঘাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা পিআর বুঝি না। যেসব দেশে এই ব্যবস্থা আছে, তাদের অবস্থা কী—তাও জানি না। যারা ফ্যাসিবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করেছে, তারাই এখন পিআর পদ্ধতি দাবি করছে।” তিনি সতর্ক করে দেন, নির্বাচন না হলে দেশে ফের ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তা রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রসঙ্গও টানেন তিনি। তার প্রশ্ন, “মির্জা ফখরুলকে ফেলে চলে গেলেন, অথচ প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নির্বিঘ্নে পার হয়ে গেলেন। বাকিরা কেন হেনস্তার শিকার হলেন? এটা কি অবহেলা নাকি ষড়যন্ত্র?”

গয়েশ্বর অভিযোগ করেন, “এ সরকার অন্তর্বর্তীকালীন হলেও কয়েকটি দল তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে। তিনটি মন্ত্রণালয় সরকারের হাতে নেই, অথচ আমরা চুপ আছি। আমাদের এই নীরবতাকে কি দুর্বলতা ভেবে নেওয়া হচ্ছে?”

তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করতে পারে। তাই বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে পূজামণ্ডপ পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানান। তার দাবি, জনগণ ধানের শীষে ভোট দেবে—এ কারণেই অনেকের অস্বস্তি বাড়ছে।

বিএনপি নেতা বলেন, “আজকের দিনে প্রার্থীর কোনো অভাব নেই। এক এলাকায় একজন প্রার্থী হলেও, সবার আগে সবাইকে ধানের শীষে ভোট চাইতে হবে। এক হয়ে কাজ করলে জয় আসবে, কিন্তু বিভক্ত হয়ে ভোট চাইলে ভোটার বিভ্রান্ত হবে।”

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী (Subrata Chowdhury), বিএনপির সহযুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলীসহ আরও কয়েকজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *