শাপলা প্রতীক নিয়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—দলকে শাপলা প্রতীক না দিলে তারা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামবে।
তিনি অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনেই ইসি দলটিকে শাপলা প্রতীক থেকে বঞ্চিত করছে। নাহিদের দাবি, জুলাইয়ের পদযাত্রায় শাপলা প্রতীকের গণজোয়ার তৈরি হওয়াতেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এ কারণে ৭ অক্টোবরের মধ্যে যদি ইসি তাদের চাওয়া পূরণ না করে, তবে দল কঠোর অবস্থান নেবে বলে তিনি জানান।
২ অক্টোবর কমিশনের পক্ষ থেকে এনসিপিকে চিঠি পাঠানো হয়, যেখানে বলা হয় শাপলা বাদ দিয়ে তালিকাভুক্ত ৫০টি প্রতীকের মধ্যে একটি বেছে নিতে। চিঠিতে প্রতীক নির্বাচনের শেষ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ অক্টোবর। তবে নাহিদ স্পষ্ট করেছেন, বিকল্প কোনো প্রতীক নয়, এনসিপি কেবল শাপলাই চাইছে।
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না (Mahmudur Rahman Manna), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি, বলেন—যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়া হয়, তাহলে তারা মামলা করবে না; তবে প্রতিবাদ জানাবেন। তার যুক্তি, নাগরিক ঐক্য নিজেরাও আগে এই প্রতীক দাবি করেছিল, কিন্তু তখন তাদের দেয়া হয়নি।
অন্যদিকে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলি (Jesmin Tuli) জানান, আইনগতভাবে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে কোনো বাধা নেই। তবে তিনি সতর্ক করেন, ব্যালট পেপারে শাপলা ও গোলাপ ফুল প্রতীক কাছাকাছি হলে বিভ্রান্তির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
শাপলা প্রতীক নিয়ে এই দ্বন্দ্ব শুধু রাজনৈতিক টানাপোড়েনই নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। ইসির অবস্থান থেকে সরে না এলে এনসিপির আন্দোলনের হুমকি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ ছড়াতে পারে।