দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party-BNP)। শনিবার এক বিবৃতিতে দলটি জানায়, ন্যায়বিচার কেবল অতীতের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করে না, বরং ভবিষ্যতে যেন কেউ একই ধরনের অন্যায় না করে, সেটিও নিশ্চিত করে। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাই একটি শান্তিপূর্ণ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি হতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি দেশের চলা উচিত ‘ল অফ দ্য ল্যান্ড’-এর (Law of the Land) নিয়মে। কিছু ব্যক্তির অপরাধ কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যেমন অনুচিত, তেমনি তাদের অপকর্মের দায়ে সেই প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করাও সঠিক নয়। একজন ব্যক্তির কাজের ভালো-মন্দের দায়, বিশেষত গুরুতর অপরাধের শাস্তি, একান্তই তার নিজের বলে উল্লেখ করে বিএনপি জানায়—প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি কলুষিত করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধের পরিপন্থী।
বিবৃতিতে বিএনপি আরও বলে, ফ্যাসিবাদের সময়কালে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার দল হিসেবে তারা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে। তাদের মতে, এখানে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় নয়, বিবেচ্য হওয়া উচিত ব্যক্তির অপরাধ ও আইনের শাসন। কোনো ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন অপরাধের সঙ্গে একটি দেশপ্রেমিক বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা, সম্মান ও আবেগের কোনো সম্পর্ক নেই, থাকা উচিতও নয়।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলা হয়, তারা এই দেশের গর্বিত সন্তান। অধিকাংশ সেনা সদস্য মন থেকে চান, যারা সীমা লঙ্ঘন করেছে, তারা যেন বিচারের মুখোমুখি হয়। যাতে ভবিষ্যতে কোনো সরকারই সেনাবাহিনীর কাছে গুম-খুনের মতো অন্যায় নির্দেশ দিতে না পারে। বিএনপি জানায়, এই সর্বজনীন ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তারা শতভাগ একমত।