জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party)–এর (এনসিপি) তুলনায় গণ অধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad) অন্তত পাঁচ গুণ বড় রাজনৈতিক দল বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি স্পষ্ট করে জানান, আপাতত এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদের একীভূত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সম্প্রতি ‘কালের সংলাপ’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন রাশেদ খান। সেখানে তিনি এনসিপি নেতাদের বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাদের প্রতি অসন্তোষের ইঙ্গিত দেন।
রাশেদ খান বলেন, “এনসিপির নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রায়ই দাবি করেন, গণ অধিকার পরিষদ নাকি তাদের দলে যোগ দিতে চায়। তিনি বলেন, আমরা নাকি যোগদানের জন্য মুখিয়ে আছি, আমাদের অনেক নেতা নাকি এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ করছে—এসবই মিথ্যা তথ্য।”
তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “নাসীরুদ্দীন সাহেব, আপনি নিজেই কোন দলের নেতা ছিলেন? আপনি তো ইতিমধ্যে ৪-৫টা দল বদল করেছেন!”
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জানান, এনসিপি নেতাদের এমন মিথ্যাচারের কারণে তাদের দলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, “এনসিপির সঙ্গে একীভূত হওয়ার যে আলোচনা চলছিল, তাদের এমন আচরণের কারণে এখন আর আমাদের নেতৃবৃন্দ সেই বিষয়ে আগ্রহী নন। এনসিপি নেতারা যদি এসব বিভ্রান্তিকর বক্তব্য বন্ধ না করেন, তাহলে দুই দলের একীভূত হওয়া সম্ভব নয়।”
তবুও রাশেদ খান জানান, তাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতা এখনো বজায় রয়েছে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপির উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও গণ অধিকার পরিষদকে গুরুত্ব না দিতে বলা হয়েছে।
তার ভাষায়, “উপদেষ্টা পরিষদ আমাদের ভয় পায়। তারা মনে করে, তরুণ নেতৃত্বের এই দুটি দল—এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ—যদি সমান সুযোগ পায়, যদি আমাদের সাম্যতা নিশ্চিত হয়, তাহলে আমরা হয়তো আরো দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব। এজন্যই তারা আমাদের গুরুত্ব দিতে চায় না।”
রাশেদ খান শেষ পর্যন্ত পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, “এনসিপি থেকে অন্তত পাঁচ গুণ বড় রাজনৈতিক শক্তি হলো গণ অধিকার পরিষদ।”