গণ অধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad)–এর সভাপতি নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur) বলেছেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচন। ইতিমধ্যে অনেক রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে পড়েছে গণসংযোগে। মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল সরকারের সমালোচনা না করে সরকারকে দুর্বল করে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। স্থান, কাল ও পরিবেশ বুঝে কথা বলা উচিত। এসব কারণেই নির্বাচনের আকাশে আমি কালো মেঘের ঘনঘটা দেখছি। রাজনৈতিক দলগুলো যদি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সবার জন্য শনির দশা অপেক্ষা করছে।”
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী শহরের বড় চৌরাস্তার প্রধান সড়কে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন নুরুল হক। বক্তব্য শেষে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা দশমিনা–গলাচিপার উদ্দেশে রওনা দেন।
নুর বলেন, “আমার ওপর সংঘটিত হামলাটা ছিল এক ধরনের টেস্ট কেস। একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তারা দেখতে চেয়েছিল, বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো এক আছে কি না। কিন্তু যখন তারা দেখেছে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, তখন সেই ক্ষমতালোভী দলটি পিছু হটেছে।”
ডাকসুর সাবেক ভিপি আরও বলেন, “এই সরকারকে বিএনপি (BNP) বলছে তাদের সরকার, জামায়াতে ইসলামি (Jamaat-e-Islami) বলছে তাদের সরকার, এনসিপি (NCP) বলছে তাদের সরকার। আর আমরা বলছি, এটি আমাদের সরকার। কারণ, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের পতন ঘটিয়ে অনেক আশা নিয়ে এই সরকারকে প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু আমরা সবাই যে পরামর্শগুলো দিই, তা সরকার এককভাবে গ্রহণ করে না। সেই কারণেই শুরুর দিকে এই সরকারের যে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা ছিল, তা এখন অনেকটাই কমে গেছে। এর জন্য দায়ী সরকারের কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও কিছু বিতর্কিত উপদেষ্টা।”
নুরুল হক আরও বলেন, “কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। সেই নেতা উপদেষ্টাদের সংখ্যা উল্লেখ করে তাঁদের পদ থেকে অপসারণের দাবি করেন। এমনকি জামায়াতের এক নায়েবে আমিরও একই অভিযোগ করেছেন—কয়েকজন উপদেষ্টা প্রশাসনে ছক কষে নিজেদের লোক বসাচ্ছেন। আমি আগেও এসব কথা বলেছি, কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি। এর ফলেই সরকার নিরপেক্ষতা হারানোর পাশাপাশি এখন নিজেই বিপদে পড়ছে।”
পথসভায় গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ও রবিউল হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলার আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সদস্যসচিব মো. শাহ আলম সিকদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য দেন।
বার্তা বাজার/এমএমএইচ