জাতীয় সংসদে উচ্চ কক্ষ চালু হলে সেই ১০০টি আসন কোরবানির গরুর দরে বিক্রি হয়ে যেতে পারে—এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি (AB Party)-র সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (Barrister Asaduzzaman Fuad)।
রোববার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের কাজী খলিলুর রহমান মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “সংসদে একটি কক্ষ বহাল রেখেই নির্বাচন হওয়া উচিত। না হলে প্রস্তাবিত উচ্চ কক্ষের ১০০ আসন কোরবানির গরুর দরে কেনাবেচার মতো দুশ্চিন্তা তৈরি হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান ৩০০ আসনের এককক্ষ বিশিষ্ট সংসদই যখন সঠিকভাবে পরিচালিত করা যাচ্ছে না, তখন আরও ১০০ আসন বাড়িয়ে উচ্চ কক্ষ গঠন করার যে প্রস্তাব, তা নতুন করে অনিয়ম ও ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।”
এ সময় তিনি শাসকদল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের মৌলিক বৈশিষ্ট্য নেই। তাই এটিকে পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল বলা যায় না।” নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ। তার মতে, “নির্বাচন কমিশনের বাস্তব প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য অন্তত একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা উচিত ছিল।”
ঝালকাঠি-২ আসনে এবি পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শেখ জামাল হোসেন, জেলা আহ্বায়ক জামাল হাওলাদার এবং সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বশিরসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।


