আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি (BNP) ঘোষিত ২৩৭ প্রার্থী তালিকায় রয়েছে এক ঝাঁক নতুন মুখ। ৮ বছর পর নির্বাচনী মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিতে যাওয়া এই দলটি এবার তরুণ ও নবীন নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিয়ে মনোনয়ন দিয়েছে।
তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন কিংবা তার আগের কোনো সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া এমন ৮১ জন নতুন প্রার্থী এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী নেতা ও প্রয়াত নেতাদের সন্তানরা।
এদিকে পুরনোদের পাশাপাশি নতুনদের এমন ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিকে বিএনপির কৌশলগত রূপান্তর হিসেবেও দেখছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
তালিকায় যাঁরা নতুন মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো
– ঢাকা মহানগর:**
– তানভীর আহমেদ রবিন (Dhaka-4),
– ইসরাক হোসেন (Dhaka-6),
– সানজিদা ইসলাম তুলি (Dhaka-14),
– শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন (Dhaka-15),
– আমিনুল হক (Dhaka-16)
- ঢাকার আশেপাশের জেলা ও মধ্যাঞ্চল:
- শেখ মো. আবদুল্লাহ (Munshiganj-1),
- মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দীপু (Narayanganj-1),
- মো. মাসুদুজ্জামান (Narayanganj-5),
- চৌধুরী নায়াব ইউসুফ (Faridpur-3),
- শহীদুল ইসলাম বাবুল (Faridpur-4),
- ডা. কে এম বাবর আলী (Gopalganj-2),
-
কামাল জামান মোল্লা (Madaripur-1)
-
সিলেট বিভাগ:
- ডা. মনিরুজ্জামান (Satkhira-4),
- এম এ মালিক (Sylhet-3),
- এমরান আহমেদ চৌধুরী (Sylhet-6),
- কয়সর আহমেদ (Sunamganj-3),
- আনিসুল হক (Sunamganj-1),
- সওকত হোসেন সকু (Moulvibazar-2),
-
ডা. আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন (Habiganj-2)
-
চট্টগ্রাম বিভাগ:
- সরওয়ার আলমগীর (Chattogram-2),
- কাজী সালাউদ্দিন (Chattogram-4),
- মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (Chattogram-5),
- হুম্মাম কাদের চৌধুরী (Chattogram-7),
- এরশাদ উল্লাহ (Chattogram-8),
- মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা (Chattogram-16),
-
দীপেন দেওয়ান (Rangamati)
-
উত্তরবঙ্গ ও রাজশাহী বিভাগ:
- মনজুরুল ইসলাম (Dinajpur-1),
- ডা. এ জেড এম জাহিদ (Dinajpur-6),
- সাইফুল্লাহ রুবেল (Nilphamari-2),
- আব্দুল গফুর সরকার (Nilphamari-4),
- মোকাররম হোসেন সুজন (Rangpur-1),
- সামসুজ্জামান সামু (Rangpur-3),
- সোহেল হোসেন কায়কোবাদ (Kurigram-2),
- খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী (Gaibandha-1),
- ফারজানা শারমিন পুতুল (Natore-1),
-
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দীন (Rajshahi-1)
-
বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁ অঞ্চল:
- মাসুদ রানা প্রধান (Joypurhat-1),
- আব্দুল বারী (Joypurhat-2),
- আব্দুল মুহিত তালুকদার (Bogra-3),
- তারেক রহমান (Bogra-6),
- ফজলে হুদা বাবুল (Naogaon-3),
- ইকরামুল বারী টিপু (Naogaon-4),
- শেখ মো. রেজাউল ইসলাম (Naogaon-6),
-
ভিপি আয়নুল হক (Sirajganj-3)
-
খুলনা বিভাগ:
- সাবিরা সুলতানা মুন্নী (Jessore-2),
- কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ (Jessore-6),
- মনিরুল হাসান বাপ্পী (Khulna-6),
-
আব্দুর রউফ (Satkhira-2)
-
বরিশাল ও উপকূলীয় অঞ্চল:
- নজরুল ইসলাম মোল্লা (Barguna-1),
- গোলাম নবী আলমগীর (Bhola-1),
- নুরুল ইসলাম নয়ন (Bhola-4),
- রাজীব আহসান (Barisal-4),
- আহমেদ সোহেল মঞ্জু সুমন (Pirojpur-2)
বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন:
– ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা (Sherpur-1), ২০১৮ সালের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রার্থী, চাকরি হারিয়ে এবার আবার লড়াইয়ে
– কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ (Jessore-6), সাবেক ছাত্রদল সভাপতি
– হুম্মাম কাদের চৌধুরী (Chattogram-7), সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে
– ইসরাক হোসেন (Dhaka-6), সাদেক হোসেন খোকার ছেলে
– সানজিদা ইসলাম তুলি (Dhaka-14), ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক
এছাড়া রয়েছে ডা. জাহিদের মতো খালেদা জিয়ার চিকিৎসক, শহীদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, দুদকের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরীসহ আরও অনেক আলোচিত নতুন মুখ।
এই নতুনদের অন্তর্ভুক্তি বিএনপির তরুণ, শিক্ষিত ও আন্দোলন-নিবেদিত একটি কাঠামো গঠনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।


