আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা (Dr. Sansila Jebrin Priyanka)। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বিএনপি (BNP)-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন সানসিলা। সেই সময় শেরপুর-১ আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। তরুণ এই নারী নেত্রী নির্বাচন করার কারণে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি চাকরি হারাতেও হয়েছিল তাকে। তবুও থেমে যাননি। এবারও একই আসনে দল আবার আস্থা রেখেছে তার ওপর। সানসিলা স্থানীয়দের কাছে ডা. প্রিয়াংকা নামে পরিচিত। রাজনীতিতে আনকোরা প্রিয়াংকা চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক।
ময়মনসিংহ বিভাগের ১১টি আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে সানসিলার নাম ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিলের খবর পাওয়া গেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগের ঘোষিত ৯ প্রার্থী হলেন
– ময়মনসিংহ-১: সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব)
– ময়মনসিংহ-২: মোতাহার হোসেন তালুকদার (উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক)
– ময়মনসিংহ-৩: ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল হোসেন (জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য)
– ময়মনসিংহ-৫: জাকির হোসেন বাবলু (দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক)
– ময়মনসিংহ-৬: আখতারুল আলম ফারুক (শেরে বাংলা এ.কে.এম ফজলুল হকের নাতজামাই)
– ময়মনসিংহ-৭: ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন (জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য)
– ময়মনসিংহ-৮: প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু (উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক)
– ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল): ইয়াসের খান চৌধুরী (বিবিসির সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞানী)
– ময়মনসিংহ-১১:** ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু (দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক)
তবে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) এবং ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসন ঘিরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
শেরপুর-১ থেকে আবারও প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে সানসিলা বলেন, “আমি আগেও শেরপুরের জনগণের পাশে ছিলাম, এবারো থাকবো। আমার লক্ষ্য—অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং জনগণের পক্ষে কথা বলা।” তরুণ নেতৃত্ব, নারীর দৃঢ়তা ও দলের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি।


